অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী চীন। বাংলাদেশ সরকার যদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় তবে দেশটি সব ধরনের সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
শনিবার (৫ নভেম্বর) স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশ-চায়না সিল্ক ফোরাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “এটি একটি প্রকল্প যেটি চীন অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। এটি বাস্তবায়নে হয়তো চীন বাধা নয়। যদি বাংলাদেশ সরকার সত্যিকারভাবে এটি করতে চায়, তবে চীন এটি বাস্তবায়ন করবে।”
তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের ওপর কিছু বহিঃচাপ আছে। আমি সঠিকভাবে জানি না কোথা থেকে চাপ আছে এবং কেন।”
বাংলাদেশ ভাটির দেশ জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি অনুযায়ী সীমান্তের কাছে কোনও ধরনের বাঁধ নির্মাণ করা হবে না এবং বিপরীত স্রোতের কারণে উজানের দেশের জন্য এটি ক্ষতিকর নয়। এই প্রকল্প উজানের দেশের জন্য কোনও ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না।”
তিনি বলেন, “আমাকে কয়েকজন বলেছে এই প্রকল্পের বিষয়ে যেন আমি সাবধানে থাকি। কারণ এর স্পর্শকাতরতা আছে। বিশেষ করে ভূ-রাজনৈতিক।”
অর্থ বা প্রযুক্তি নয়, বরং বাংলাদেশের সরকারের দৃঢ় সংকল্প এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় জিনিস বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিস্তা নদীর উৎসে বাঁধ দিয়ে পানি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত করছে চীন, এমন মিডিয়া রিপোর্টের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এর উৎস সিকিমে (ভারতের একটি রাজ্য), চীনে নয়। এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট রিপোর্ট।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমার মত হচ্ছে উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা দরকার। আমরা আশা করি এদেশে সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে যাতে আর্থ-সামাজিক উন্নতি অব্যাহত থাকে।”
তিনি বলেন, “অন্য কোনও দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় না চীন।”
সঠিক সময়ে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান না করতে পারলে আঞ্চলিক সংকট তৈরির আশঙ্কা দেখছে চীন। সেজন্য এ সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে নিয়ে কাজ করছে দেশটি।
Leave a Reply